সমন্বয় সাধন : একজন সংগঠককে সব সময় একজন সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতে হয়। একা কোনো ব্যক্তি কোনো সংগঠন পরিচালনা করতে পারে না। তাই সংগঠককে সব সময় সবকিছুর মধ্যে সমন্বয় সাধন করতে হবে।
পরিকল্পনা : সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সংগঠনকে এগিয়ে নিতে হবে।
ব্যবস্থাপনা দক্ষতা : একজন সংগঠককে একজন ভালো ব্যবস্থাপক হতে হবে। ব্যবস্থাপনায় যে যত ভালো তিনিই তত ভাল সংগঠক।
নিয়ন্ত্রন দক্ষতা : যে কোন কাজেই নিয়ন্ত্রন প্রয়োজন। সঠিক নিয়ন্ত্রন ছাড়া কোন উদ্যোগে সফল করা যায় না। তাই একজন সংগঠকের নিয়ন্ত্রন দক্ষতা থাকতে হবে।
সৃজনশীলতা : যে কোন সামাজিক সংগঠনের সৃষ্টিই হয় সমাজকে আরো ভালো করে তৈরী করার জন্য। তাই সংগঠকদের সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য শিল্প সাহিত্যের চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রচুর পড়াশুনা করা : পড়াশুনার অভ্যাস মানুষকে বিকশিত করে, সৃজনশীল করে, গতানুগতিক হতে সাহায্য করে এজন্য একজন সংগঠককে ভালো বই পড়তে হবে। খ্যাতিমান মানুষের জীবনী পড়তে হবে।
নেতৃত্বের গুন : একটি সংগঠন সুষ্ঠ এবং সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য যোগ্য নেতার প্রয়োজন: যেমন হাসিখুশী ভাব, কথা বলার দক্ষতা, কর্মমুখরতা, সাহসিকতা, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনের সক্ষমতা, মহৎ স্বপ্ন দেখা, গনতান্ত্রিক মনোভাব বজায় রাখা, মাথাঠান্ডা রাখা, দূরদর্শীতা, সমস্যায় পড়লে সমস্যা সমাধানের পথ খুজে বের করা এবং বিরতীহীন ভাবে কাজ করা ইত্যাদি।
পরিশেষে বলা যায়, একটি সামাজিক সংগঠনকে সফল করতে হলে নেতাদের নেতৃত্বগুণ, দক্ষতা, ধৈর্য্য, স্বেচ্ছাসেবী মানসিকতা, সহযোগিতা-পরায়ন, দলগত সিদ্ধান্তের উপর শ্রদ্ধাশীল মনোভাব, সর্বোপরি নৈতিক গুণাবলীর অধিকারী হতে হবে। সংগঠন হলো এক সুতোয় এক এক করে এক একটা ফুল দিয়ে গাঁথা মালার মতো।