"টার্গেট সোসাইটি" >সমাজ পরিবর্তনে অঙ্গীকারবদ্ধ

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

একটি সামাজিক সংগঠনের প্রাথমিক কাজ ও রুপরেখা

আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে বা পারিবারিক জীবনে সববিছুর সঙ্গে জড়িয়ে আছে সামাজিক সংগঠন। শিক্ষা, সংস্কৃতি, সমাজসেবা, গনসচেতনতা, সুনাগরিকত্ব ইত্যাদি সহ সার্বিক সামাজিক উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যেই সামাজিক সংগঠন এর প্রতিষ্ঠা করা হয়। একটি সংগঠন এর সাধারনত নিম্নলিখিত কাজগুলো করতে হয়।

সমন্বয় সাধন : সামাজিক সংগঠন কখনোই নিজস্ব বা ব্যক্তিগত কিছু নয়। একা কোন মানুষ একটি সংগঠন পরিচালনা করতে পারে না। তাই সকলের সমন্বিত উদ্দেশ্য পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান একত্র করে সংগঠন সৃষ্টি করতে হয়।

সুনির্দিষ্ট কাঠামো : প্রতিটি সংগঠন একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামোর আওতায় গড়ে ওঠে। অর্থাৎ একটি সংগঠন কোন ধরনের কাজ করবে তা সুনির্দিষ্ট থাকবে।

সামাজিক উন্নয়ন : সংগঠনকে অবশ্যই সামাজিক উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সংগঠনের প্রতিটি সদস্যকে সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।

নৈতিক ও ধর্মীয় উন্নয়ন : যাদের নিয়ে সংগঠন গঠিত তাদের সবার আত্মউন্নয়নে কাজ করতে হবে। তাদের নৈতিক ও ধর্মীয় উন্নয়নে সংগঠনের মূখ্য ভূমিকা রাখতে হবে। নিয়মিত ধর্মচর্চা এবং ধর্মীয় সভা-সমাবেশসহ সঠিক ধর্ম ও নৈতিকজ্ঞান সবার মধ্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

শিল্পসংস্কৃতি চর্চা : সংগঠনের অন্যতম কাজ হওয়া উচিত শিল্প সংস্কৃতির চর্চার মাধ্যমে শিল্পমনস্ক মানুষ তৈরী করা। যে দেশের শিক্ষা যতবেশী সমৃদ্ধ সে দেশের মানুষ ততবেশী নৈতিকতায় সমৃদ্ধ প্রতিটি সংগঠনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত শিল্পসাহিত্য ও নৈতিক গুণচর্চার মাধ্যমে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকা।

সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য : লক্ষ্য বিহীন কোন কিছুরই অস্তিত্ব বেশীদিন ঠিকিয়ে রাখা যায় না। সুতরাং সংগঠনের অবশ্যই সুনির্দিষ্ট ও গঠনমূলক লক্ষ্য থাকতে হবে।

সংগঠকের ভূমিকা : একজন সংগঠকের অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। সংগঠনের ভালো-মন্দ, সুনাম-দুর্নাম অনেক কিছুই সংগঠকের উপরে নির্ভরশীল। তাই সংগঠকের অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে।

সংগঠকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ

সমন্বয় সাধন :  একজন সংগঠককে সব সময় একজন সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করতে হয়। একা কোনো ব্যক্তি কোনো সংগঠন পরিচালনা করতে পারে না। তাই সংগঠককে সব সময় সব...